চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া কখনোই সহজ নয়। তা ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পেশাগত এবং সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজকাল এমন একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যেখানে কর্মীরা তাদের কর্মস্থল ছেড়ে নতুন সুযোগ খুঁজতে চলেছেন। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? চাকরি ছাড়ার পেছনে আসল কারণ কী? এ বিষয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করা হলে কিছু বিশেষ কারণ উঠে আসে।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো যখন কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত উন্নতি বা আর্নিং পোটেনশিয়াল সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়, তখন কর্মীরা অন্য কোম্পানিতে চাকরি খোঁজেন যেখানে তাদের কাজের জন্য সঠিক মূল্য প্রদান করা হয়।
গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ৩০ শতাংশ কর্মী তাদের সুপারভাইজারের অনুপস্থিতি এবং নেতিবাচক মনোভাবের কারণে চাকরি ছাড়েন। একজন কর্মীর মূল্যায়ন, প্রশংসা এবং সহায়তা না পেলে তার ইচ্ছাশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে, কর্মীরা নিজের জীবন এবং পরিবারের জন্য সময় না পেয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে থাকেন। যে কোনো কাজের ফলস্বরূপ যদি আপনার শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ে, তবে চাকরি ছাড়াই তার সমাধান খুঁজতে হয়।
আরেকটি ব্যাপার হলো, যদি কর্মীর পেশাগত উন্নতির কোনও সম্ভাবনা না থাকে, তবে তা তাদের কাছে হতাশাজনক মনে হয়। কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং শিক্ষা নিশ্চিত না হলে কর্মীরা মন থেকে প্রস্থান করেন।
কর্মসংস্থানে উত্তম নেতৃত্ব, কর্মীদের জন্য উন্নয়নমূলক সুযোগ, কাজের চাপের সঠিক ভারসাম্য, এবং আর্থিক সুবিধা সঠিকভাবে প্রদান করা, এসবই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। কর্মীদের যদি তাদের কাজের মূল্যায়ন এবং সহায়তা প্রদান করা যায়, তবে তারা প্রতিষ্ঠান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেবেন না, বরং সৃজনশীলভাবে তাদের কর্মজীবন আরও সমৃদ্ধ করতে চাইবেন।
এই সব কিছুই প্রতিষ্ঠানের এবং কর্মীদের উভয়ের জন্য একটি সুবিধা বয়ে আনবে।